গরীব অশিক্ষিত কৃষকের মেধাবী ছেলের সাথে ধনীর মেয়ের সাথে বিয়ে !
গ্রামের এক গরিব অশিক্ষিত কৃষকের একমাত্র ছেলে অনেক মেধাবী। ছেলেটি বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি (এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর) পদে চাকরি পেল। পিতার দায়িত্ব এখন সন্তানকে একটা ভাল বিয়ে দেয়া।
অশিক্ষিত লোকটি ভেবে দেখল ছেলেটি যেহেতু এলাকার সবচেয়ে ভাল চাকরি করে তাই তাকে গঞ্জের সবচেয়ে ধনীর মেয়ের সাথে বিয়ে দিবে। ছেলে যেহেতু মেধাবী ও ভাল পদে আছে তাই গঞ্জের ধনীরা আপত্তি করবে না।
কিন্তু কৃষকের স্ত্রী কৃষককে অনেক নিষেধ করলেন। কারণ গঞ্জের ধনীদের নাক অনেক উচু। তারা কৃষককে অপমান করতে পারে।
জবাবে কৃষক বললেন “আমার ছেলে কি কোন অংশে কম? আর ছেলের জন্য না হয় কিছুটা অপমানিত হলাম! তাতে অসুবিধা কী?”
কৃষক মনে মনে অপমানিত হবার প্রস্তুতি নিয়েই গঞ্জের সবচেয়ে ধনী ও সম্মানিত লোকের কাছে ঘটকের মাধ্যমে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন।
দুই দিন পর ঘটক কৃষকের বাড়ি এলেন। কৃষককে দেখেই ঘটক বললেন “পাত্রের সুনাম ইতিমধ্যে গঞ্জ পর্যন্ত পৌছে গেছে। তারা পাত্রের কথা শুনে খুব আগ্রহী। তবে আমাকে কিছু প্রশ্ন করেছে তার উত্তর দিতে পারি নাই। আপনি যদি জানেন তাহলে নিজে গিয়ে উত্তর দিয়ে আসেন ও পাত্রীর বাবার সাথে দেখা করে আসেন। তারা আপনার মুখ থেকেই সব কথা শুনতে চায়!”
কৃষক আগ্রহী হয়ে জিজ্ঞেস করলেন “তারা আমার ছেলের সম্মন্ধে কী জানতে চায়? এলাকার সবাই আমার ছেলের সম্মন্ধে ভাল জানে। প্রাইমারী স্কুলে সে গ্রামের স্কুলে ১ নম্বর ছিল। হাই স্কুলে পড়ছে গঞ্জের স্কুলে। সেখানেও সে ১ নম্বর ই ছিল। ভার্সিটিতে ভর্তি হইছে। সেখানকার খবর তো আমি বুঝি না। ছেলেকে জিগাইতে হবে।”
ঘটল কৃষককে বললেন “পাত্রীর বাবা জিজ্ঞেস করেছেন ছেলের পড়াশোনা কত?”
কৃষকের স্ত্রী এতক্ষণ ঘরের ভেতর থেকে আগ্রহ ভরে সব কথা শুনছিল। ঘটকের প্রশ্ন শুনে মহিলা জ্বিভে কামড় দিলে। ঘটক ইতিমধ্যে সাইকেল চালিয়ে চলে গেলেন। কৃষক স্তম্ভিত হয়ে ধীর পায়ে গৃহে প্রবেশ করলেন। স্ত্রী এসে কৃষককে বললেন “আমি আগেই কইছিলাম গঞ্জের ধনী মাইনষেরা খুব খারাপ। তারা আপনারে অপমান করব। আপনি আমার কথা শুনলেন না। আপনি শুনলেন ভুট্টো সাহেবের কথা!”
কৃষক বললেন “তোমার কথাই ঠিক গেদার মা। এত কিছু জানার থাকতে তারা আমার পোলার ‘পড়া’ সোনার কথা জানতে চায়! এখন আমি পোলারে কেমনে জিগামু তোর সোনা ‘পড়া’ অবস্থায় কত লম্বা? বাপ হইয়া এই প্রশ্ন আমি কেমনে জিগাই? অহন কী করা যায় কওতো গেদার মা?”
গেদার মা বললেন “ছোডকালে পোলাডারে যখন গোসল করাইতাম তখন সোনার সাইজ ছিল আধা আংগুলের সমান। অহন পোলা বড় হইছে। আমিও বা কেমনে জিগাই। আর আমার পোলা এলাকার কোন মাইয়ার লগে প্রেম পিরিতিও করে নাই যে সেই মাইয়ারে এই কথা জিগামু!”
কৃষক বললেন “তাইলে উপায়? এই অপমানের প্রতিশোধ নিতে হইব। বিয়ার সময় পোলার সোনার সাইজ জানতে চায় এই প্রথম হুনলাম।”
গেদার মা, এক খান বুদ্ধি বাইর করো।
গেদার মা বললেন “এক কাজ করেন, তারা তো আর বিয়ার আগে পোলার সোনার মাপ নিতে পারবে না। নিলে বিয়ার পরেই নিব। আপনি চাপা মাইরা একটা কথা বানাইয়া বুনাইয়া কইয়া দেন!”
কৃষক এবার গঞ্জে গেলেন। পাত্রীর বাবা কৃষককে অনেক সমাদর করলেন। কথায় কথায় পাত্রীর বাবা প্রশ্ন করলেন “সব কিছু তো জানলাম কিন্তু একটা বিষয় জানলাম না। পাত্রের পড়াশোনা কদ্দুর?”
কৃষক গর্ব ভরে উত্তর দিলেন “আমার পোলার পড়া সোনার অবস্থা জানি না তয় খাড়া অবস্থায় ৭ ইঞ্চি থাকে। অহন আপনার মাইয়ারে জিগান তার এই সোনায় পোষাইব কিনা!”
https://culive24.com/?p=17775https://i0.wp.com/culive24.com/wp-content/uploads/2018/07/Rita.jpg?fit=650%2C365&ssl=1https://i0.wp.com/culive24.com/wp-content/uploads/2018/07/Rita.jpg?resize=150%2C150&ssl=1গল্পপড়া,পাত্রী,সোনাগ্রামের এক গরিব অশিক্ষিত কৃষকের একমাত্র ছেলে অনেক মেধাবী। ছেলেটি বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি (এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর) পদে চাকরি পেল। পিতার দায়িত্ব এখন সন্তানকে একটা ভাল বিয়ে দেয়া। অশিক্ষিত লোকটি ভেবে দেখল ছেলেটি যেহেতু এলাকার সবচেয়ে ভাল চাকরি করে তাই তাকে গঞ্জের সবচেয়ে ধনীর মেয়ের সাথে বিয়ে দিবে। ছেলে যেহেতু মেধাবী ও...culivehttps://plus.google.com/u/0/me?tab=wX&authuser=0CuLive Portaladmin@culive24.comAdministratorচবির একঝাক মেধাবী তরুন লেখক ও ছাত্র সাংবাদিক বৃন্দ।চবি নিউজ পোর্টাল | Campus News 24/7
Leave a Reply